খুলনার বিখ্যাতে এটো চুইঝাল !
প্রতিদিনের একঘেয়েমি রান্নায় নতুনত্ব আনতে চান? স্বাদে ভিন্নমাত্রা যোগ করতে ব্যবহার করুন “চুইঝাল”—একটি ঝাঁঝালো, মসলাদার উপাদান যা আপনার খাবারের স্বাদকে করে তুলবে আরও লোভনীয়!
যেকোনো রান্নায় চুইঝাল যোগ করলেই মিলবে এক অনন্য ফ্লেভার, যা খাবারকে করে তোলে আরও মুখরোচক ও উপভোগ্য। মাংস, মাছ, সবজি কিংবা হালিম, চটপটি —প্রতিটি পদেই চুইঝাল এনে দেবে অতুলনীয় স্বাদের টুইস্ট!
চুইঝাল যোগ করুন, স্বাদে আনুন বৈচিত্র্য!
যেসব রান্নায় সাধারণত ব্যবহার করা হয়:
• গরুর মাংস
• হাঁসের মাংস
• মাছ
• নিহারী
• খাসির মাংস
• মুড়ো ঘণ্ট
• সবজি
• হালিম
• মুরগির মাংস
• ভুনা তরকারি
• খিচুড়ি
• চটপটি
*** ৩০,০০০ হাজারেরও অধিক গ্রাহকের কাছে আমরা চুই ঝাল পৌঁছে দিয়েছি!
চুইঝালের পার্থক্যসমূহ :
গাছ চুইঝাল
- চুইঝাল গাছের কাণ্ডকে গাছ চুইঝাল বলে। স্থানীয়দের ভাষায় একে খাড়ি চুই বলা হয়ে থাকে।
- গাছ চুইঝাল সাধারণত রান্নার সময় গলে যায় না, তাই আস্ত অবস্থায় থাকে।
- ঝাঁঝালো স্বাদযুক্ত এবং রান্নায় গলে না গিয়ে আস্ত থাকার জন্য যারা চিবিয়ে ঝাল স্বাদ উপভোগ তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে গাছ চুইঝাল।
- সাধারণত একসাথে অধিক পরিমাণে মাংস রান্না, খিচুড়ি, চটপটি, হালিম, ছোলা ভুনা এবং সুস্বাদু আচার তৈরিতে গাছ চুই ঝাল ব্যবহার করা হয়।
মাতৃগাছের ধরনভেদে গাছ চুইঝাল মাঝারি থেকে অধিক ঝাল স্বাদের হয়ে থাকে।
এটো চুইঝাল
- চুইঝাল গাছের গোড়া এবং গোড়া সংলগ্ন মোটা অথবা মাঝারি মোটা অংশকে এটো চুইঝাল বলে।
- এঁটো চুইঝালে ফাইবার কম থাকায় এটি রান্নায় গলে গিয়ে গ্রেভি ফ্লেভার নিয়ে আসে।
- তুলনামূলক কম-ঝালযুক্ত এবং রান্নায় গলে যাওয়ার জন্য এই চুইঝালও কিন্ত বেশ সুস্বাদু এবং সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।
- যেকোনো ধরনের মাংস, ঝোলের তরকারি, মাছের ঝোল, মাছ ভুনা সহ যেকোনো ধরনের ভুনা তরকারিতে এঁটো চুইঝাল ব্যবহার করা হয়।
- মাঝারি সাইজের এটো চুইঝালে সাধারণত ঝালের তীব্রতা বেশি থাকে।
চুইঝাল সম্পর্কে সচরাচর প্রশ্নসমুহ :
- চুই ঝাল কি?
চুইঝাল পানের লতার মত এক ধরনের গাছ, এর শিকড় ও কান্ড খাবারে ব্যবহার হয়ে থাকে। চুইঝাল মসলা ও ঝাল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এটি খেতে অনেকটা আদা ও গোলমরিচের মত ঝাঝালো, রান্নার পর টুকরোগুলো চুষে বা চিবিয়ে খাওয়ার সাথে সাথে এর দারুন স্বাদ উপভোগ করা যায়। খুলনা অঞ্চলের দিকে মাংস রান্নায় এই চুইঝাল ব্যবহার ব্যাপক প্রচলিত।
- এক কেজি মাংসে কতটুকু চুই ঝাল দিব?
সাধারনত ১ কেজি মাংসে ৫০-৬০ গ্রাম চুইঝালই যথেষ্ট। তাই ৫০০ গ্রাম চুইঝাল দিয়ে খুব ভালোভাবেই ৮-১০ কেজি মাংস রান্না করা যায়।
- চুইঝাল কিভাবে কাটব?
চুইঝাল কাটার আগে অবশ্যই ১০ থেকে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। এরপর প্রথমত আশ বরাবর লম্বালম্বি কেটে নিবেন। তারপর প্রয়োজনমত ছোট বড় টুকরো করে নিন।
- চুইঝালের রান্নার বিশেষত্ব কি?
চুইঝাল দিয়ে রান্না করা তরকারিতে কড়া ঝাঁঝালো ঝাল একটা স্বাদ পাওয়া যায়। মাংস ছাড়াও ভুনা খিচুড়ি, মাছ ভুনা, বিভিন্ন রকমের রান্নায় চুইঝালের ব্যবহার এর স্বাদকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
- কিভাবে রান্না করব চুইঝাল দিয়ে?
ঝোল জাতীয় যেকোন খাবারে চুইঝাল ব্যবহার করতে পারবেন। চুইঝালের ফ্লেভারটা ভালোমতো ঝোলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার জন্য দুই তিন টুকরো চুই ঝাল থেতো করে দিবেন আর বাকি অংশটুকু আস্তই থাকবে। এতে করে যেমন ঝোল এর মধ্যে চুইঝালের ফ্লেভার পাবেন, আবার আলাদা করে চুইঝাল চিবিয়ে খাওয়ার মজাটাও উপভোগ করতে পারবেন।
- গাছ ও এটো চুইঝালের মধ্যে পার্থক্য কি?
চুইঝাল গাছের কাণ্ডকে গাছ চুইঝাল বলে। গাছ চুইঝালের ঝাঁঝ সাধারণত একটু বেশি হয়ে থাকে। গাছ চুইঝাল রান্নায় গলে না গিয়ে আস্ত থাকে। এজন্য যখন চিবিয়ে খাওয়া যায় তখনই স্বাদটা উপভোগ করা যায়।
চুই ঝাল গাছের গোড়া এবং গোড়া সংলগ্ন মোটা অথবা মাঝারি মোটা অংশকে এটো চুই ঝাল বলে। এটো চুইঝালে ঝাল এ ঝাল তুলনামূলক কম হলেও রান্নায় গলে গিয়ে গ্রেভি ফ্লেভার নিয়ে আসে। তরকারিতে দিলে নরম হয়ে যায়, তবে ঝোলের সাথে দারুন ফ্লেভার ছড়ায়। তুলনামূলক কম-ঝালযুক্ত এবং রান্নায় গলে যাওয়ার জন্য এই চুইঝালও কিন্ত বেশ সুস্বাদু এবং সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।
- দেশি ও পাহাড়ী চুইঝাল এর পার্থক্য কি?
পাহাড়ী চুইঝাল দেশের পাহাড়ী অঞ্চল অর্থাৎ চট্টগ্রাম, রাঙামাটি পার্বত্য অঞ্চলে জন্মে থাকে। এর রঙ খয়েরী অথবা লালচে সাদা, রান্না হতে বেশ সময় লাগে, খেতে মোটেও সুস্বাদু নয় এবং কাঠের মত শক্ত হয়ে থাকে। পাহাড়ী চুই এর বাহ্যিক অংশে কোনো শিকড় থাকে না অন্যদিকে দেশী চুইঝালের কান্ড ছোট ছোট শিকড়ে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে এবং রান্নায় ও বেশ ঝাঁঝালো ঝাল এক ধরনের ফ্লেবার যোগ করে থাকে।
- কি কি ঔষধি গুণ রয়েছে চুইঝালে?
চুইঝাল গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে,খাবারের রুচি বাড়াতে এবং ক্ষুধামন্দা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ কমায়, স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমন করে, শারীরিক দুর্বলতা ও শরীরের ব্যথা কমায়। সদ্য প্রসূতি মায়েদের শরীরের ব্যথা দ্রুত কমাতে ম্যাজিকের মতো সাহায্য করে। কাশি, কফ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও রক্তস্বল্পতা দূর করে। এছাড়াও চুই ঝাল ঘুমের ওষুধ হিসেবেও বেশ ভালো কাজ করে।
Reviews
There are no reviews yet.